ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতাবিরোধীরা বিদেশি মিডিয়া ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
স্বাধীনতাবিরোধীরা বিদেশি মিডিয়া ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে ...

মেহেরপুর: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর, আল শামস ও তাদের দোষরদের ষড়যন্ত্র আজও চলছে। তারা এখন অর্থ বিনিয়োগ করে বিদেশি মিডিয়া ব্যবহার করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে।

রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাংনী হাইস্কুল ক্যাম্পাসে  মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মহামারি করোনার সময় বিএনপি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তারা মনে করেছিলেন করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে। তারা সরকারকে ব্যর্থ বলে সমালোচনা করবে। করোনা মোকাবিলাতেও সরকার সফল হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ যখন করোনাতে বিপর্যস্ত ছিলো, তখন এদেশের একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। বিশ্বে বাংলাদেশ টিকা প্রদানকারী দেশ হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশের মানুষ এখন আত্ম মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বড় বড় উন্নয়ন দেখে এখন বিশ্ব বাংলাদেশের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। তাই উন্নয়ন পেতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। মুজিববর্ষে দেশি ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়ে বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আগামীতে আরো ৫০ হাজার ঘর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে ঘর দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার বাংলাদেশে একটি মাত্র স্থান আছে। সেটি হলো মুজিবনগর। আর এই মুজিবনগরকে ঘিরেই মেহেরপুরের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। তাই মেহেরপুর জেলা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় গেলে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বঙ্গবন্ধু এবং নৌকা হাতছানি দেই। টুঙ্গিপাড়ার সেই আদলে মেহেরপুর জেলাকেও তৈরি করতে হবে। আর এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ভাল ব্যবহার, ভাল আচরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। বর্তমান সরকার মাদক, সন্ত্রাস, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে। তাই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত জেলা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, গাংনী পৌর সভার নবনির্বাচিত মেয়র আহমেদ আলী।

গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, জেলা কৃষক লীগের সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, গাংনী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, ভাইস চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, মটমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।