ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ভাসানীকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা প্রতারণা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
‘ভাসানীকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা প্রতারণা’

ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা জাতির সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।  

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীই হচ্ছেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।

১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারণের মধ্য দিয়েই তিনি বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই মহান নেতাকে ৫০ বছরের শাসকগোষ্ঠীরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।  

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘৯ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এক দফা দাবি স্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হঠাৎ এক ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগণকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে মওলানা ভাসানীর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল এলটি দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের একদিন পর ৯ মার্চ পল্টনের জনসভায় মজলুম জননেতা বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন ‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না এবং এ ব্যাপারে কোনো আপস সম্ভব নয়’।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ৯ মার্চ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর বক্তব্য সমগ্র জাতিকে সংগ্রামী ও বিপ্লবী আগুনে পুড়িয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে পৌঁছে দেয়, জাতির মধ্যে রাষ্ট্রের অনিবার্যতা স্পষ্ট হয়, জাতির অন্তরে বিপুল শক্তির জন্ম দেয়।
 
গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল করিম, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা, কাজী শাহনাজ মিনু, আইরিন আক্তার দিবা, চিত্রা রানী দেবী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।