ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয়: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয়: ফখরুল ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: একাত্তরের ৭ মার্চ ও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৯ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, একদিনে, একজনের ভাষণে স্বাধীনতা আসেনি—এই কথাটাই আমরা বার বার বলতে চেয়েছি। আমাদের সেই বক্তব্যের পরে সরকারপ্রধান ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক কথা বলেছেন, যেটা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। কেন এই মিথ্যাচার? একটাই কারণ, এখানে শুধু তাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যকে চরিতার্থ করতে চায়, তাদের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, একজন মাত্র ব্যক্তি তার একক ঘোষণায়, তার একক কথায় দেশ মুহূর্তের মধ্যে স্বাধীন হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, নয় মাস কষ্ট করে, লড়াই করে যুদ্ধ করেছে, এক কোটির উপরে মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে গেছে বাড়ি-ঘর সব কিছু ছেড়ে। এখানে যারা ছিলেন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর কথা চিন্তা করেছেন, তুলে নিয়ে গেছে পাকিস্তানি বাহিনীরা, ফিরে আসেনি। এখানে কত মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন—সেসব কথা উচ্চারণ হয় না, তাদের কথা কেউ বলে না।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে কোনো একজন বললেন যে, ২৫/২৬ মার্চ ….। এটা হাস্যকর, এটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এটা কেউ বিশ্বাস করবেন না এ জন্যে যে, তিনি এমন সমস্ত কথা বলেন, যার ঐতিহাসিক প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেন না।

আওয়ামী লীগের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবশ্যই আপনাদের অবদান আছে। অবশ্যই বিরাট বিরাট অবদান আছে। ১৯৭১ সালে আপনাদের যে অবদান সেই অবদান কোনোদিন আমরা অস্বীকার করি না।

ফখরুল বলেন, এই সরকার একটা গণবিরোধী সরকার। তারা ইতিহাসকে বিকৃত করছে। এই সরকার গণমানুষের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন করে এ দেশকে একটা স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত করেছে।

মওলানা আবদুল আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তীর নায়ক। তার নামের মধ্যে ম্যাজিক্যাল বিষয় রয়েছে। তিনি আসামের নির্যাতিত কৃষকদের পক্ষে বিশেষ করে বাঙালি কৃষকদের পক্ষে আন্দোলন করতে ছুটে বেড়াতেন পুরো আসাম। অগ্নিঝরা বক্তৃতা দিয়ে তিনি মানুষকে সংঘবদ্ধ করেছেন। জমিদারদের বিরুদ্ধে মানুষকে সংঘবদ্ধ করছেন। তিনি বৃটিশদের হাত থেকে পাকিস্তানিদের বের হওয়ার জন্য, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন-সংগ্রাম করেছেন। আজকে তার নাম কেউ একবারের জন্যও স্মরণ করে না।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি গঠিত জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।