ঢাকা, শুক্রবার, ২২ ভাদ্র ১৪৩১, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, স্বৈরতন্ত্র আর সুশাসনের অভাবের কারণে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এনায়েতুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন দলের অর্ধশত নেতা-কর্মীর জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, নোয়াখালীর বসুরহাটের মতো সারাদেশেই অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন জন্ম দিয়েছে। দেশে নির্ভেজাল গণতন্ত্র জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে পল্লীবন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় বসে দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, যা এখনো চলছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিদের বৈষম্যের প্রতিবাদে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। এখন ক্ষমতাসীন দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজি, দলবাজি, চাঁদাবাজি করে দেশের মানুষের শান্তি হরণ করেছে। ’৯১ সালের পর থেকে শুধু লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় পার্টি সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল, তাই প্রতিদিনই বিশিষ্টজনরা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলায় কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, নাজমা আকতার এমপি।

উপস্থিত ছিলেন—উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, মৌলভী ইলিয়াস, মোবারক হোসেন আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, মমতাজ উদ্দিন, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা মোতাহার হোসেন রাশেদ, প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, ইকবাল আলমগীর, ভিপি জহির উদ্দিন, রিনা আক্তার তুলি, মিথিলা রোয়াজা, জাফর আহমেদ রাজু।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।