ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার নির্দেশনা ছিল না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
‘৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার নির্দেশনা ছিল না’

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার কোনো নির্দেশনা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আর বিএনপি সেই গনতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফোরাম আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আব্দুস সালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ৭ মার্চ জনগণ ও ছাত্র সমাজ এগিয়ে এসেছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে একটা সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অর্থাৎ দেশবাসীকে বোঝাতে চেয়েছেন আমি আন্দোলন ও সংগ্রামে আছি তোমরা প্রস্তুত হও। পাশাপাশি পাকিস্তানকে বুঝিয়েছেন এখনো সময় আছে পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে অথবা আমাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার কোনো নির্দেশনা ছিল না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় ও পরে আওয়ামী লীগ কি আসলে মুক্তিযুদ্ধ চেয়েছিল? সে সময় তারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। সে সময় আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পাকিস্তানের সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করেছিলো। সেই জন্য আওয়ামী লীগ ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত চেয়েছিলো পাকিস্তানকে কীভাবে সংঘবদ্ধ রাখা যায় এবং আওয়ামী লীগ চেয়েছিলো কীভাবে তারা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারে যেতে পারে। কিন্তু ছাত্রসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে এমনভাবে সম্পৃক্ত করেছিলো যে, আওয়ামী লীগ চাইলেও সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

আব্দুস সালাম বলেন, ২৫ মার্চ ঢাকায় ক্রাকডাউন হয়েছে এবং চট্টগ্রামেও গণহত্যা হচ্ছিলো, তখন জিয়াউর রহমান তার সিনিয়রকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করে সেখানেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন একটা সরকারের বিরুদ্ধে। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু। এদিকে ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তার বাসায়। আওয়ামী লীগ যদি স্বাধীনতার ঘোষণাই দিতো তাহলে তাজউদ্দীনের মাধ্যমেই দিতো। তাই এসব কথা বলে লাভ নেই।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে নাই। গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে বাকশাল করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা। কিন্তু যুদ্ধের পরে আমরা কী দেখলাম? মুক্তিযুদ্ধের ফল তো জনগণ পাচ্ছে না। শুধু একটা জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ করিনি। একটা দেশের আপামর জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ করেছি।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির জামান খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির জাতীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলী, সদস্য অ্যাড. রফিক শিকদার, দপ্তর সস্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।