ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

তারা প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন ‌‘বিএনপি এলো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
তারা প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন ‌‘বিএনপি এলো’

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুনামগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। কিন্তু ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, এটা বিএনপি করেছে, আর এখন ধরা পড়লো কে? এক নম্বর আসামি যুবলীগের সদস্য স্থানীয় মেম্বার।

আসলে সমস্যা হয়েছে ওনারা প্রতি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন, বিএনপি এলো।  সুতরাং ওনাদের মুখে বিএনপি ছাড়া কোনো কথা বের হয় না।

বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২৪ মার্চ কালো দিবস উপলক্সে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ৯০'র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যতো ঘটনা ঘটেছে, যা কিছু হয়েছে সব আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে। আপনারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুন হিন্দুদের বাড়ি-জমি কারা দখল করে রেখেছে, দেখবেন বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের দখলে।

করোনা সমস্ত বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অথচ প্রধানমন্ত্রী নাকি করোনা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাজগুলোই তারা করেনি। এখন বলছে, আইসিইউ বেড নেই। তাহলে একবছর ধরে কি করলেন? কেন মানুষ আজকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন? কেন এতোদিনেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেন না?

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর নামে আসলে পালন করছে মুজিববর্ষ। আপনারা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছেন কিন্তু মানুষতো কাউকে দেখি না, জনগণ সঙ্গে নেই। প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রোগ্রামে কিছু আমলা, তাবেদার গোষ্ঠী ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। আর বাইরে থেকে কিছু মেহমান এনে বলতে চান অভূতপূর্ব-অলৌকিক উন্নয়ন হয়েছে, কোন অভাব নেই। অথচ এখন মোটা চালের দাম ৮০ টাকা, তেল-লবণের দাম বেড়েছে। তারা যতোই বলুক দেশে আসলে গরিব আরও গরিব হচ্ছে, ধনী আরও ধনী হচ্ছে। তাদের মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি চলছে।

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যতো ধরনের অবৈধ কাজ, যতো ধরনের মিথ্যাচার আছে সরকার করছে। এক কথায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা যা করা দরকার তার সবই করছে। এ সরকার অত্যন্ত কৌঁসুলি সরকার। তারা বিভিন্ন কৌশলে অবলম্বন কর সবসময়, কারণ তারা এটা না করলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজকে এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সব রাজপথ প্রকম্পিত হওয়া উচিৎ। গত ১০ থেকে ১২ বছরে আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মী আসামি হয়েছে, ৫০০ উপর গুম হয়েছে, হাজারের বেশি খুন হয়েছেন। প্রতি মূহুর্তে আমরা আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত, কিন্তু আমরা এখনও সেভাবে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি। এ দায়-ব্যর্থতা আমাদের সবার। গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করি, এ দায় থেকে আমরা সরকারকে সরাতে পারেনি। আমাদের কেউ গণতন্ত্র এনে দেবে না, নিয়ে আসতে হবে। এজন্য সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।