ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হেফাজতকে এখনই কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ১৪ দল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
হেফাজতকে এখনই কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ১৪ দল

ঢাকা: মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে হেফাজতে ইসলামী চ্যালেঞ্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ১৪ দলের নেতারা।  

১৪ দলের নেতারা বলেন, এই আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।

তাদের বিষয়ে যতই কৌশল অবলম্বন করা হোক, সনদ দেওয়া হোক আর যেভাবেই খুশি করার চেষ্টা করা হোক তারা তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরে আসবে না। দমন করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্ব শক্তি নিয়ে নামতে হবে। আইনি ব্যবস্থা নিয়ে এদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় নেতারা একথা বলেন। ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পুনর্গঠন ও পুনঃর্নিমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আগামী দিনে দেশ কীভাবে চলবে সেই নির্দেশনাও তিনি দিয়েছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর নিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে আমু বলেন, মোদীর বিষয়টি তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। এর আড়ালে তারা অপ্রকাশ্যে দিবসগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। দেশের উন্নয়নের সামনে বিকল্প কিছু না পেয়ে তারা ধর্মান্ধ স্লোগান দিচ্ছে। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা মনে করি না। তারা সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেয়। এই সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান পাকিস্তান থেকেই চলে আসছে।

‘বারবার সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নিয়ে দেশের ওপর আঘাত করতে চায়। হেফাজতই হোক বা তাদের আড়ালে জামায়াত-শিবির পাকিস্তানি শক্তি হোক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্ন এখানে এসেছে। এগুলোর বিষয় কর্ণপাত করতে সরকারকে অনুরোধ করছি। এদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। ’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের বাবা কে ছিলেন? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে তা অশনিসংকেত। আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে। যতই খুশি করার চেষ্টা করি তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরবে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মোদীর সফর কেন্দ্র করে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে হেফাজত দাঁড়িয়ে গেছে। তারা রাষ্ট্রীয় উদযাপনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার চ্যালেঞ্জ যারা দিয়েছিল তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা কিছুতেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নির্বিঘ্নে পালন করতে দেবে না। এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো, তালেবানদের অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।  

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষ করার মুহূর্তে দেশে একটি নারকীয় তাণ্ডব লীলা দেখলাম। এটা আমরা দেখতে চাই না। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আমরা নির্মূল করতে পারিনি। হেফাজতের আন্দোলনকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে বিএনপি তাদের সঙ্গে ছিল। এদের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকার সুযোগ নেই। দৃঢ় হস্তে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাতীয় পার্টি-জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, গণআযাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিদকার, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
এসকে/এএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।