ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জেলায় জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
জেলায় জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে, গুলিবর্ষণ করেছে।

‘নওগাঁয় জেলা বিএনপির মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। পুলিশের গুলিতে নওগাঁ জেলা মহিলাদল নেত্রী কহিনুর ইসলাম মিলি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ’

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে মিছিলের জন্য বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হওয়া বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ওপর পুলিশ গুলি ও লাঠিচার্জ করেছে। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের এই নির্মম আক্রমণে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিশাত, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, রুবেল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা নঈমসহ ৪০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন।

পাবনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। রাজশাহী ও নাটোরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ব্যাপকভাবে বাধা দিয়েছে।

পটুয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে তিনজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত ও নয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

ভোলায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি বাধা ও হামলা চালানো হয়েছে।

বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে।

ঝালকাঠীতে পুলিশ ও র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞায় বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।

বরগুনায় পুলিশ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে, কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে এবং জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও বাধার কারণে কর্মসূচি পণ্ড ও অনেক নেতাকর্মী আহত হন।

ময়মনসিংহে পুলিশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভোর থেকে দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচিতে আসা নেতাকর্মীদের জমায়াতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের আহত করেছে। নিষেধাজ্ঞা ও হামলার মুখেও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সভা-সমাবেশ করা মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হলেও ভোটবিহীন সরকার তাদের অনৈতিক ও ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে সভা-সমাবেশে গুলিবর্ষণ, হামলা, মামলা, গ্রেফতারসহ দমন, নিপীড়ন চালিয়ে রাজনীতির পথকেই সংকুচিত করে ফেলেছে।

তিনি সোমবার ও মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লগের হামলা, পুলিশের গুলিবর্ষণ, নেতাকর্মীদের আহত ও গ্রেফতার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এমএইচ/এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।