ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভাঙছে ছাত্র ইউনিয়ন, একাংশের সম্মেলন সোমবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
ভাঙছে ছাত্র ইউনিয়ন, একাংশের সম্মেলন সোমবার

ঢাকা: প্রায় ৬ দশক পর ভেঙে যাচ্ছে ঐহিত্যবাহী বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটির একাংশের সম্মেলন সোমবার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

রোববার (১১ এপ্রিল ) সংগঠনটির  সহকারী সাধারণ সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চলের নামে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, সমাজ প্রগতির লড়াই সংগ্রাম এবং সাম্প্রদায়িকতা-সন্ত্রাস-নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী অগ্রণী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জরুরি জাতীয় সম্মেলন সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

গঠনতান্ত্রিক শূন্যতা ও জরুরি সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ২৭ ও ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এবারের সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যেই ৭১ সদস্যের প্রস্তুতি পরিষদ ও ১০টি উপ-পরিষদের কাজ শেষ পর্যায়ে। বিগত সম্মেলনে অংশ নেওয়া সারাদেশ থেকে ৪৮টি সাংগঠনিক জেলার দুই শতাধিক প্রতিনিধি জরুরি জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের ৪০তম সম্মেলনের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, কাল যে সম্মেলন আহবান করা হয়েছে তার কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়নি। ছাত্র ইউনিয়নের কতিপয় সদস্য এই সিদ্ধান্ত অগঠনতান্ত্রিকভাবে গ্রহণ করেছে। ঐক্যের স্বার্থে রোববার তাদের সঙ্গে নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আহ্বান করা হয়। সভায় আমরা একটা জরুরি সম্মেলন আগামী ২৭ এবং ২৮ এপ্রিল আহবান করেছি। সোমবার রাত ৯টার মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করে আমরা সম্মেলনের দিকে অগ্রসর হবো।

তিনি আরও বলেন, এরপরেও যদি কেউ অগ্রিম এবং আলাদা কোনো সম্মেলনের জন্য অগ্রসর হয়, বিভ্রান্তি ছড়ায় তাহলে বুঝতে হবে ছাত্র ইউনিয়নকে বিভক্ত করার এটা একটা চক্রান্ত, এই চক্রান্তে বাহিরের কারও ইন্ধন থাকতে পারে।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় এক সভাপতি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র ইউনিয়নের জরুরি সম্মেলন করা হয় জাতীয় কোনো দুর্যোগময় জরুরি পরিস্থিতে। এভাবে জরুরি সম্মেলন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।  

ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বললে তারাও ছাত্র ইউনিয়নে এমন সম্মেলন ডাকা এক ধরনের চক্রান্তের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।   

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্য বিনষ্ট করার যারা চেষ্টা করছে, তাদের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সমর্থকরা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না। সম্মেলনের পর এমন বিতর্ক কাম্য নয়। আমি আশা করি, ছাত্র ইউনিয়ন তার অতীত গৌরব অক্ষুণ্ণ রেখে ঐক্যবদ্ধ্যভাবে লড়াই সংগ্রামে এগিয়ে যাবে।

এর আগে স্বাধীনতা পূর্বকালীন সময়ে চীন ও রাশিয়া পন্থিদের দ্বন্দ্বে রাশেদ খান মেনন এবং মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়ন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।