ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরতে বললেন ওবায়দুল কাদের 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরতে বললেন ওবায়দুল কাদের 

ঢাকা: রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বুধবার (১৯ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ হাসিনার  ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪ দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং চারটি হাসপাতালে চারটি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও চারটি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।  

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করি। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারতো বলেও উল্লেখ করেন।  

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি কোনো ধরনের চাপ এখন নেই এ কথা আমি বলতে পারি। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে দেশের দুর্নীতি ও অপরাধসহ নানা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে। এদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও লালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যম অতন্দ্র প্রহরী। যারা বলছেন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জন্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এ কথা আদৌ সত্য নয়। দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে আমরা জানতে পেরেছি সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে প্রবেশ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নোট লুকিয়ে ফেলে ও মোবাইলে ছবি তুলেন। অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ অনুযায়ী এ ধরনের গোপনীয় বিষয় প্রকাশ যোগ্য নয়। সাংবাদিকদের যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এভাবে লুকিয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন। নিরপরাধ হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তরঙ্গ তথা সংক্রমণের উচ্চমাত্রা চলাকালে এ বিষয়টি নিয়ে যাতে জন মনে কোনো ধরনের অস্থিরতা ও অসন্তোষ তৈরি না হয় সেজন্য আমি সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ধৈর্য ধারণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।