ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংবাদিকদের ‘শিক্ষা’ দিতে চায় সরকার: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
সাংবাদিকদের ‘শিক্ষা’ দিতে চায় সরকার: মির্জা ফখরুল জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: শাকিল

ঢাকা: সরকার রোজিনাকে দিয়ে সব সাংবাদিকদের ‘শিক্ষা’ দিতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটাই হলো ফ্যাসিবাদের চরিত্র। তারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে স্তব্ধ করে দিতে চায়।

শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিক রোজিনাসহ সব সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদ মহিলা দল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করেছে দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে রোজিনা ইসলাম, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের সব মানুষ আজকে নির্যাতিত, নিপীড়িত। শফিক রেহমানের মতো মানুষকে ২১ দিন ফ্লোরে শুয়ে থাকতে হয়েছে। রুহুল আমীন গাজী কারাগারে। বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের জামিন হয় না। আমাদের এখন একটাই পথ, এই দানবকে সরাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জের নেতা মাওলানা ইকবালকে তিন/চারবার রিমাণ্ডে নিয়েছে। রিমাণ্ডে অত্যাচার নির্যাতনে বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন। এরা মানুষ না? কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। কিন্তু পুলিশ কাস্টডিতে রিমাণ্ডের নামে নির্যাতন করে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন? এটা বন্ধ করেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তার করোনা সংক্রান্ত অনেকগুলো জটিলতা দেখা দিয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। গতকাল চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তার শ্বাসকষ্ট এখন নেই। কিন্তু উদ্বেগের যে বিষয় সেটা হলো—পোস্ট কোভিড জটিলতায় তার হার্ট-কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। এটা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যেটা সরকার নাকচ করে দিয়েছে। তারা মনে করে খালেদা জিয়া যদি বাইরে যান তাহলে মুক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করবেন। এত ভয় কেন?

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডিউইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সিকদার, মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার, মহিলা দল নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আকতার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।