ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এই সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
এই সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই সরকার এখন একটা দুর্নীতিপরায়ন সরকারে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর সবাই ভেবেছিল বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। বিএনপিকে আর দেখা যাবে না, কারণ তার আসল নেতাই চলে গেছে। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পতাকা তুলে ধরেছেন। তার অবদান কারও চেয়ে খাটো নয়। এখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, হাসপাতালে। এই সরকার কতটা প্রতিহিংসা পরায়ন। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাইরে নিয়ে যাও, তারা বাইরে যেতে দিতে চায় না। এটা হচ্ছে তাদের দুর্বলতা। রাজনীতিতে তাদের দেউলিয়াপনা, জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার প্রমাণ।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনও কারাগারে। তিনি কারাগারে বলেই দেশের গণতন্ত্র এখন কারাগারে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। তারপরও কিন্তু বিএনপিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি আছে, চলছে, অত্যন্ত সোচ্চার হয়েই আছে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা ধংস করে একদলীয় বাকশাল করেছিল সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যর্থতা, চুরি দুর্নীতির কারণে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আজকের জেনারেশন সেটা জানে না। তখন মানুষ আর কুকুর ডাস্টবিনের খাবার খেয়েছে। সেটাই বাস্তবতা। লক্ষ মানুষের মৃত দেহ রাস্তাঘাটে পড়েছিল। সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য উদপাদনের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিলেন। কোন অলৌকিক শক্তিতে? তার সততা, প্রজ্ঞা, মেধা এবং দূরদৃষ্টির কারণে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কখনও পিছনের দিকে তাকাবেন না। কখনও মনে করবেন না যে, আমরা পারব না। আমরাই পারব, অবশ্যই আমরা জয়ী হব। যে দানব আমাদের সব অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে, যে দানব লুণ্ঠনের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই দানবকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বিথিকা বিনতে হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।