ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর কর আরোপ আগ্রাসনমূলক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২১
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর কর আরোপ আগ্রাসনমূলক

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের ওপর আগ্রাসনমূলক।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট উত্থাপনের পর রাতে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংগঠনের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘শিক্ষার ওপর এরূপ আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ করারোপের ফলে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি ফি দিতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় বর্ধিত ফি এর বোঝা বহন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অসম্ভব।

আমরা এর আগেও দেখেছি, সরকার ২০১০ ও ২০১৫ সালে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র ওপর করারোপ করেছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। তাই আন্দোলনের ভয়ে সরকার এবার টিউশন ফি’র ওপর সরাসরি করারোপ না করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত আয়ের ওপর করারোপের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, এ সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর করারোপ করলে মালিকপক্ষ তা ফি বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই আদায় করবে। ’

আরও বলেন, সরকার এক দিকে বলছে, ১৯৯২ এর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, ‘যা শুধুমাত্র শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত। আবার এর ওপর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতোই করারোপ করছে, যা সরকারের দ্বিমুখী নীতির পরিচায়ক।

রাষ্ট্রের কর্তব্য বিনামূল্যে সবার জন্য একমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করা। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও তা পরিচালনা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, সরকার সে দায়িত্ব অস্বীকার করায় গড়ে উঠেছে বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এবং সেখানে ছাত্রদের টাকার বিনিময়ে পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। সেটা ছাত্রদের জন্য নিঃসন্দেহে কষ্টকর। কিন্তু এ করারোপের ফলে শিক্ষাব্যয় নতুন করে বাড়লে বহুশিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আর পড়তে পারবে না।

একদিকে রাষ্ট্র দিন দিন ফি বাড়িয়ে সমাজের নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। আবার একইসঙ্গে আন্দোলন রোধ করার জন্য ভিন্ন নামে এ করারোপের কাজ করছে। ’

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সরকারের প্রতি কর প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়া সরকার মানতে সম্মত না হলে, শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তা মানতে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।