ঢাকা, বুধবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২১
বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: পাকিস্তানের নির্যাতনের ভয়ে বঙ্গবন্ধু পালিয়ে যান নাই ৷ বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৷

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর শাসনামল উন্নয়নের এক বিস্ময়। সেই সাড়ে তিন বছর সময়কালকে স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময় কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের সেই সাড়ে তিন বছরের সময়ের গবেষণায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন।

সোমবার(৯ আগস্ট) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী রাজধানীতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি  ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন ও বৃক্ষ রোপণ করেন ৷

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে কোনো শাসনতন্ত্র ছিল না। রক্তাক্ত বাংলাদেশ। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নাই। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে শাসনতন্ত্র দিয়েছেন। ৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের কোনো ভুল নেই। সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের কাতালিয়ানরা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাদের নেতা পালিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে যান নাই, পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মতো পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক পরিবার দেশ গঠনে এত আত্মত্যাগ করেনি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু

পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়ার প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হনন করা।  
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়, তার জন্য কত ষড়যন্ত্র, প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হয়েছে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যাপক পারদর্শিতা দেখিয়েছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।  

এ কারণে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারতম হয়েছিল। দারিদ্র্যে জর্জরিত হয়েছিল। এই দারিদ্র্য বিক্রি করে অনেকে পদক পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। শুধু কিছু মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব  মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার মহিউদ্দিন রতন, সিবিএ নেতা মহসিন ভূঁইয়া এবং  মির্জা মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগ্রতি জন্য দোয়া করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২১
এসকে/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।