ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বিএনপির কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বিএনপির কমিটি

ঢাকা: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার জন্য ১০০ সদস্যের কমিটি করেছে বিএনপি।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে যে ১০০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। তারপর থেকেই কারাগারে আছেন।

অপরদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুম ২০১৬ সাল থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এ কমিটিতে আরও নাম এসেছে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জনির। যিনি তার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গত ৪ মাসেরও বেশি সময় দেশের বাইরে আছেন। নাম আছে কয়েকদিন আগে নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার আসামি দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর।  

বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আহ্বাযক ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে সদস্য সচিব করে ‘মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মীর মোহম্মদ নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, মশিউর রহমান, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, এম এ কাইয়ুম, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নজমুল হক নান্নু, অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রিতা, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নুর মোহাম্মদ খান, ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আ ন ম এহসানুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, শিরিন সুলতানা, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তাইফুল ইসলাম টিপু, মোহাম্মদ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম আলিম, আসাদুল  করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, সাইফুল ইসলাম শিশির, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, সাঈদ সোহরাব, অ্যাডভোকেট খন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, মুন্সি বজলুল বাছিত আনজু, জামাল শরিফ হিরু, তকদির হোসেন মো. জসিম, আবদুল লতিফ জনি, আনোয়ার হোসেন, আরিফুল হক চৌধুরী, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, নাজিম উদ্দিন আলম, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হেলাল খান, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, জাকির হোসেন রোকন, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, মজিবুর রহমান, মো. মাহমুদুল হক সানু, জামালউদ্দিন খান মিলন, এস কে সাদী, শ্যামল হোড়, মো. মাইনুল ইসলাম, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল।

জানতে চাইলে কমিটির দ্বিতীয় নম্বরের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনেওতো আমরা কোনো কমিটি করিনি। হঠাৎ করে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে কমিটির দরকার পড়লো কেন?

কমিটি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে স্থায়ী কমিটির সদস্যকে কীভাবে সদস্য করা হলো। আমিতো কখনও ভাসানীর দলও করিনি। এটা অবশ্য মহাসচিব বলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে তিনিওতো দেশে নেই।  

কমিটির সদস্য সচিব শামসুজ্জামান দুদু বাংলানিউজকে বলেন, মওলানা ভাসানীর মৃত্যূবার্ষিকী পালনের জন্য কমিটি করা হয়েছে। দু/এক দিনের মধ্যে বৈঠক করে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। ঢাকায় আলোচনা সভা ও টাঙ্গাইলে আলোচনা সভা হবে। তবে সবকিছুতে এখনতো অনুমিত লাগে। তার ওপরে নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান দেশের বাইরে আছেন তবে তিনি চলে আসার কথা। বৈঠকের আগেই চলে আসবেন। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১৭ নভেম্বর বলেও তিনি জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।