ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউপি নির্বাচন

স্বামীর অসম্পন্ন কাজ করার সুযোগ চান শাহনাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
স্বামীর অসম্পন্ন কাজ করার সুযোগ চান শাহনাজ নির্বাচনী প্রচারণায় শাহনাজ

লক্ষ্মীপুর: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আগামী ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে  আওয়ামী লীগে থেকে প্রার্থী হয়েছেন শাহনাজ আক্তার।

তার বিপরীতে ওই ইউপিতে আরও ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের মাঠে এ নারী প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন খান। আনারস প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে তিনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের মতামতের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

নৌকার জয়ের পথে এখন পর্যন্ত কিছুটা বাধা আনারস প্রতীক। স্থানীয়দের মতে- এ দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও প্রার্থীরা দাবি করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের। আর ভোটাররাও চাচ্ছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হোক।

ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহনাজ আক্তার বর্তমান চেয়ারম্যান। ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ ছিলেন শাহানাজ আক্তারের স্বামী । ২০২০ সালের জুন মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। শহিদ উল্লাহ মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার। বিগত এক বছর থেকে স্বামীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তার এ কাজে সব সময় পাশে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জু।

শাহনাজ আক্তার বাংলানিউজেক বলেন, বিগত এক বছর থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বামীর আদর্শে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার পূর্বের কর্মকান্ড বিবেচনা করে দল আস্থা রেখে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে। অল্প সময়ে মধ্যে আমি এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছি। আর তাই এলাকার ভোটাররাও আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন করোনা যোদ্ধা ছিলেন। করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বলতে গেলে মানুষের জন্য তার জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন। আমি তার সহধর্মীনি, আমি তার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। মানুষের বিপদে-আপদে আমার স্বামী দৌঁড়ে যেতেন। এখন তিনি নেই, কিন্তু তার দায়িত্ব আমার কাঁধের উপর।

শাহনাজ বলেন, ভোটে নির্বাচিত হলে আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করাই হবে আমার একমাত্র উদ্দেশ্যে। স্থানীয়দের মান উন্নয়ন এবং রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাব।

দলে বিদ্রোহী প্রার্থী আছে, নৌকা বিজয়ে বাধাপ্রাপ্ত হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি আস্থা রেখেই আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তাই সুষ্ঠ নির্বাচনে সকল ভোটাররা নৌকাতেই ভোট দেবে। আশাকরি বিদ্রোহী প্রার্থী এতে বাধা হতে দাঁড়াতে পারবেনা। এছাড়া ইউনিয়নে আমার স্বামীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ভোটাররা সে দিকটি বিবেচনা করে নৌকা প্রতীকেই বিজয়ী করবে।

প্রসঙ্গত, রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। আগামী ২৮ নভেম্বর ৯টি ভোট কেন্দ্র ভোট নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।