ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতাদের অশালীন মন্তব্যের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
বিএনপি নেতাদের অশালীন মন্তব্যের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না: তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডা. মুরাদ হাসানের কর্মকাণ্ডে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সরকার তার ব্যবস্থা নিয়েছে।

কিন্তু বিএনপি নেতাদের অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।  

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা যখন এরকম কর্মকাণ্ড করেন, তখন তারা কোনো ব্যবস্থাই নেন না। বিএনপির নেতারা যখন অশোভন আচরণ, অশ্লীল কথাবার্তা বলে বেড়ায়, তখন দেশের নারী নেত্রীরা এতো সোচ্চার হন না।  

তিনি বলেন, দল এবং সরকারের কেউ যদি ভুল করে বা এমন কোনো কর্মকাণ্ড করে যা জনগণ পছন্দ করে না, অনৈতিক ও অনুচিত তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এটি প্রমাণ করে, যেই হোক তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।  

বিএনপি নেতাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতারা যখন অশোভন কথা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কখনো তাদের দল থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। মুরাদ হাসানের ঘটনায় নারী নেত্রীরা সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নারী নেত্রীদের সোচ্চার হতে দেখিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন এবং লন্ডনের (ইউকে) বিএনপি সভাপতি এম এ মালেকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে দিয়েছেন। এসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের পরে বিএনপি কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? এখনো এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। এসব বক্তব্যের পরে কাউকে বিবৃতি দিতেও দেখিনি। বিএনপির তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অনাচার তারা করছেন। সরকারি দলের কেউ করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে সরকার বা আমাদের দল কাউকে ছাড় দেয় না, সেটার প্রমাণ সবাই পেয়েছে।  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এম এ মালেক ইউকেতে থাকেন, তিনি যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন, এরপরে কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিল? সেগুলো এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। কই তাকে তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তার মানে, তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও নোংরা কথাবার্তা যারা বলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনি আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখবেন। নিজের সারা গায়ে দুর্গন্ধ মেখে, অপরের দুর্গন্ধ খুঁজে বেড়ানো সমীচীন নয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. হেদায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি (এমপি) শাজাহান খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।