ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সার্চ কমিটির জন্য কারও নাম প্রস্তাব করেনি জাসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
সার্চ কমিটির জন্য কারও নাম প্রস্তাব করেনি জাসদ ছবি: পিআইডি

ঢাকা: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে কারও নাম প্রস্তাব করেনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

বুধবার (ডিসেম্বর ২২) বিকেলে বঙ্গভবনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

ইনু বলেন, জাসদ মনে করে যে, সার্চ কমিটি গঠনে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়। এজন্য আমরা কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে ভারাক্রান্ত করতে চাইনি।

একজন নারী ও একজন শিক্ষক-অধ্যাপক থাকার কথা বলা হলেও এ ক্ষেত্রেও জাসদ কোনো নাম প্রস্তাব করেনি বলে জানান তিনি।

নাম প্রস্তাব না করলেও সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক সংস্থায় দায়িত্ব পালন করে আসা ব্যক্তিদের রাখার সুপারিশ করার কথা জানিয়ে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেওয়া সমীচীন।

‘আইনি কাঠামো’ তৈরি করে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ৫ বছর পর পর ‘বিব্রতকর অবস্থা’র স্থায়ী সমাধান করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাসদ।

আইন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনকে একটি ‘গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া’ বলেও রাষ্ট্রপতির কাছে মত প্রকাশ করে জাসদ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, গত কয়েকটি নির্বাচন কমিশন অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমেই হয়েছে। কখনও বিতর্ক দেখা দিয়েছে, কখনও বিতর্ক দেখা দেয়নি। যতদূর সম্ভব একটা বিতর্কের ঊর্ধ্বে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহযোগিতা করা বাঞ্ছনীয়।

বঙ্গভবন প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাসদের সঙ্গে সংলাপে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে এখনো আইন না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ এ কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

ইনুর নেতৃত্বে জাসদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, মোশাররফ হোসেন ও রেজাউল করিম তানসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।  

সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরের নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রথম দিন সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

সার্চ কমিটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বাছাই করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়।  

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা শপথ নিয়েছিলেন। নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এমইউএম/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।