ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যে নির্বাচনী আইন করতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশের জনগণ কখনও মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন বাংলার দামাল ছেলেরা প্রতিহত করবেই।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন পাস করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজকে দেখলাম খুব অজ্ঞানী এক লোক, উনি পাকা পাকা ভাষায় কথা বলেন। ইচরে পাকা একটা ছেলে হাছান মাহমুদ নাকি তার নাম। সে বলতেছে, ‘বিএনপি বোঝে নাই, আমরা কী করতে যাচ্ছি। ’ আপনারা কী করতে যাচ্ছেন, বিএনপি খুব ভাল বুঝেছে। আপনারা বাকশালকে পুনঃপ্রবর্তন করতে চাচ্ছেন। এটা বিএনপি খুব ভালই বোঝে।
তিনি বলেন, আপনারা বলছেন, আইন পাস করবেন। কীসের আইন পাস করবেন। আপনারাতো অনির্বাচিত, নিশিরাতের সরকার। আপনারা কোনো আইন পাস করতে পারেন না। যে আইন পাস করবেন সে আইন বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং নির্বাচিত সরকার আসবে, সেই সরকার যে কোনো আইন করলে সেটা আমরা মেনে নেব। কিন্তু আপনারা যে আইন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, সেটাকে আমরা কখনওই মেনে নেব না।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, অনেকে ফেরাউন, নমরুদ, চসেস্কু, মুসোলিনির মতো পারমানেন্টলি ক্ষমতা থাকার চেষ্টা করতেছেন। অসম্ভব ব্যাপার, এটা কখনও হয়নি, আজও হবে না। বাংলার দামাল ছেলেরা এটা প্রতিহত করবেই।
জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, যারা ভেবেছিলেন জিয়াউর রহমানকে শেষ করে দিলেই বাংলাদেশ আমাদের করতলগত হবে তাদের মুখে ছাই দিয়ে আজকে বিএনপি এই দেশে টিকে আছে। জিয়াউর রহমানের পর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি আজকে ধুকে ধুকে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় জীবন কাটাচ্ছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরে আসার প্রহর গুনছেন। এমনি সময়ে আমাদের এই আয়োজন। আজকে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে জিয়াউর রহমান কে এবং কী?
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি নিজে যুদ্ধ করেছেন। সব সেক্টর কমান্ডারের অফিস ছিল ভারতে, একমাত্র জিয়াউর রহমানের অফিস ছিল সিলেটে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যারা জানেন না তাদের জন্য আমার এ বক্তব্য।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড