ঢাকা: পাতানো রাজনৈতিক খেলা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওযা এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না। পাতানো রাজনৈতিক খেলা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন যারা করেছিল, একই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান যারা করেছিল, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে যারা গোপনে বিচারপতিদের বয়সসীমা বাড়িয়েছিল, তারাই পাতানো খেলা আর গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা কথায় কথায় ২০১৮ সালের নির্বাচন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত স্থানীয় ১১৮টি সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থা অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল। সংসদে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিও আছে। তাহলে বিএনপির সংসদ সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হলো? সংসদ অবৈধ হলে তাদের সংসদ সদস্যরা কীভাবে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদিন সংসদে বক্তব্য রাখছে? আসলে বিএনপির রাজনীতি দ্বিচারিতার রাজনীতি। তাদের রাজনীতি জন্মলগ্ন থেকে জনবিরোধী ও ক্ষমতালিপ্সু নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। নির্বাচন ও সংসদের বৈধতা নিয়ে কোনো কথা বিএনপির মুখে মানায় না। অতীতে জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিএনপি কীভাবে ছেলে খেলা করেছে! বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানাবো, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। সেখানে জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দেওয়ার জন্য নিজেদের কুৎসিত প্রতিবিম্ব দেখতে পাবেন। জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টির জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিশুদ্ধতার প্রয়াস নিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন সরকারের অধীনে হবে তা সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে। আমরা বার বার বলে আসছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের উচ্চ আদালত কতৃক একটি মীমাংসিত ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের যে উদ্যোগ, বিএনপি নেতারা সরকারের সে উদ্যোগে মূল্যবান মতামত দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এসকে/এমআরএ