ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নয়াপল্টনে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মারামারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
নয়াপল্টনে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মারামারি পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পিরোজপুর জেলা শাখার দুই গ্রুপ নয়াপল্টনে মারামারি করেছে বলে জানা গেছে। এরপর উভয় গ্রুপ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে মারামারি ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করেছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রদল কার্যালয়ের সামনে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ সময় পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের এক নম্বর সহ-সভাপতি তানজিদ হাসান গ্রুপ ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল গ্রুপের মধ্যে এ মারামারি হয়। এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক রুবেল ও সহ-সভাপতি তানজিদ হাসানসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

সূত্র জানায়, পিরোজপুর জেলার একটি থানা কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের একটি অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেছে সহ-সভাপতি গ্রুপ।

কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লেখা অভিযোগপত্রে তানজিদ হাসান বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এ বি এম মাহমুদ আলম সরদার বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলার সুপার ফাইভ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক মিটিং করার জন্য আমাকে অবহিত করেন। সাংগঠনিক মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য আমি বিকেল ৪টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় উপস্থিত হই। ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের অফিসের সামনে আমি ও আমার দুজন ছোট ভাই যখন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম,  ঠিক সেই মুহূর্তে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ভাই সাবেক ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। আমি তর্ক থামানোর জন্য কথা বলতে গেলে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান শাহীন মো. আরিফুল ইসলামকে মারধর শুরু করেন। তৎক্ষণাৎ আমি ছাড়াতে গেলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল আমার কাছে দৌঁড়ে এসে আমাকে মারধর শুরু করেন।

এরপর পরই বদিউজ্জামান শেখ রুবেলের সঙ্গে থাকা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহম্মেদ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস আই রানাসহ আরো অপরিচিত ১৫ থেকে ২০ জন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার পকেট থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ৪ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিয়ে যায়।

তানজিদ হাসান আরও অভিযোগ করেন, হামলার এক পর্যায়ে মাহামুদুল হাসান শাহীন ও মশিউর রহমান এসে আমাকে এলোপাথাড়ি লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মশিউর রহমান রাস্তায় থাকা ইট তুলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশে মাথায় আঘাত করতে এলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের সামনে থাকা লোকজন আমাকে বাঁচান। যার সাক্ষী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা অনেকেই রয়েছেন।

সংগঠনের দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তানজিদ হাসান।

একইভাবে সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেলও কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি-সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগে দাবি করেন একই সময় তানজিদ হাসানের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ তার ওপরে হামলা করেছে। তিনিও তানজিদ গ্রুপের শাস্তি দাবি করেন।

জানতে চাইলে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বাংলানিউজকে বলেন, আমি শুনেছি পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের কতিপয় সদস্য নয়াপল্টন অফিসের সামনে মারামারি করেছে। কিন্তু কী নিয়ে কেন মারামারি করেছে তা জানি না। তবে তারা উভয় পক্ষ সভাপতি-সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।