ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

এমপি শামীম পাটোয়ারীর বক্তব্য ভাইরাল, ভাসছে প্রশংসায়

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এমপি শামীম পাটোয়ারীর বক্তব্য ভাইরাল, ভাসছে প্রশংসায় শামীম হায়দার পাটোয়ারী

ঢাকা: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও রাজনৈতিক দলের লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

লাখ লাখ মানুষ তার বক্তব্য শুনছেন এবং তার কথা প্রশংসা করছেন।

তার বক্তব্যের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।    

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে তিনি দেশের বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য রাজনৈতিকভাবে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তরুণ এই রাজনীতিকের বক্তব্যকে প্রশসংসনীয় বলে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন। সংসদে এভাবেই সমস্যাগুলো তুলে ধরে তা সমাধানের ওপর মতামত দেওয়া উচিত বলে মানুষ মন্তব্য করছেন।  

ওই বক্তব্যে সংসদ সদস্য এককালে পৃথিবীর চতুর্থ অর্থনীতির দেশ ভেনিজুয়েলার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে জাতীয় স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দলের ঐকমত্যের প্রসঙ্গগুলোও তুলে ধরেন। জাতীয় স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি তিনি বিরোধী দলের ভূমিকার ওপরও গুরুত্ব দেন। তার বক্তব্যের প্রসঙ্গ ও যুক্তিগুলোকে মানুষ সানন্দে গ্রহণ করেছেন।  

গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী বলেন, আমরা এখন সংকটে আছি এতে কোনো সন্দেহ নেই। যতই আমরা হম্বি-তম্বি করি না কেন, যতই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের দেশের অর্থনীতির তুলনা করি না কেন, গুমের সঙ্গে তুলনা করি না কেন? তথাকথিত লবিস্ট তত্ত্ব কিংবা পিআর নিয়ে আলোচনা করি না কেন, এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। সমস্যাটির সমাধান করার জন্য অবশ্যই আমাদের জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। ভুলে গেলে হবে না, ভেনিজুয়েলা একটা সময় পৃথিবীর চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ ছিল। তাদের মাথাপিছু আয় ছিল বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আজকে সেখানে ৯৭ ভাগ মানুষ দরিদ্র। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে।

শামীম হায়দার তার বক্তব্যে আরও বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন জেনেভাতে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল, তখন বিরোধী দলীয় নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীকে পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও। এজন্যই ভারত এখনো টিকে আছে। ১৯৬৫ সালে যখন (পাকিস্তানের সঙ্গে) যুদ্ধ হলো, তখন যুক্তরাষ্ট্র বলল, যুদ্ধবিরতি না করলে খাদ্যশস্য দেব না ভারতকে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার জনগণকে বললেন, আমরা যদি সবাই সপ্তাহে একবেলা খাদ্য কম খাই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা লাগবে না। তাদের সেই ঐক্যের ডাকে সবাই সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ঐকমত্যের ডাকে সবাই সাড়া দেবে না, এটাই রাজনৈতিক বাস্তবতা।

লবিস্ট ও পিআর নিয়োগ নিয়ে যেসব বক্তব্য আসছে, তার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলব এই বিশাল অত্যাসন্ন এবং অবশ্যম্ভাবী সংকটে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কেউ কেউ আমার ব্যক্তিগত মতে অর্বাচীন ও বালখিল্যসুলভ আচরণ করছেন। লবিস্ট ও পিআর নিয়ে যা বলেছেন তা সত্যিই হাস্যকর। পিআর-লবিস্ট আলোচনা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। অবশ্যই আমরা এই ব্যাপারে প্রফেশনালিজম চাই। রাষ্ট্রীয় নির্বুদ্ধিতা, রাষ্ট্রীয় অহমিকা চাই না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এসকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।