ঢাকা: সাম্প্রদায়িক, উগ্রবাদ ও স্বাধীনতার শত্রুদের লালন এবং পোষণের কারণেই বিএনপি এদেশের মূলধারার রাজনীতি থেকে দিন দিন ছিটকে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে ক্ষমতার শেয়ার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বিএনপি বেঈমানি করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এদেশে ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি জন্ম থেকেই মিথ্যাচারকে সাথী করে নিয়েছে। বিএনপি মুখোশ পড়া গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল চটকদার বিজ্ঞাপনের মত। এদেশের অর্থনীতিতে বিএনপি খাল কেটে কুমির এনেছিল, উন্নয়ন তাদের শত্রু। ভোট ডাকাতি, হ্যাঁ- না ভোটের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন, ভোটার বিহীন নির্বাচন এবং ভুয়া ভোটার সৃষ্টিতে তারা এদেশে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অথচ এ দলটি নির্লজ্জের মতো সরকারের ওপর নিজেদের ব্যর্থতার দায় চাপায়।
বিএনপির রাজনীতি অনিয়ম, লুটপাট আর দুর্নীতির সংস্কৃতিতে অভ্যস্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তাদের তথাকথিত উন্নয়ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বার মতো। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে ক্ষমতার শেয়ার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বিএনপি বেঈমানি করেছিল, অপশক্তির সহযোগী হিসেবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে দেশ বিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
লবিস্ট নিয়োগ করে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানো তার জলন্ত প্রমাণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। জনগণের কাছে বিএনপির মুখোশ আজ উন্মোচিত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে মাটি ও মানুষের রাজনীতি করছে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগ।
দেশের অর্থনৈতিক উত্তরণে বিএনপির গাত্রদাহ হয় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো পারেইনি, উল্টো তারা এখন শেখ হাসিনার অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। বিতর্কিত করতে চায় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে। জনগণ ও উন্নয়নকে বিএনপি প্রতিপক্ষ বানিয়েছে, তাই তারা এখন রাষ্ট্রকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে বিদেশে অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ বিনিয়োগের উৎস খুঁজে বের করে জনগণের সামনে বিএনপির মুখোশ আবারও উন্মোচন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
এসকে/এমএমজেড