ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনে কাদের নাম প্রস্তাব করবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সমগ্র জাতি।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনে আমরা সংবিধানের বাধ্যবাধতকা অনুযায়ী একটি আইন তৈরির প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আমরা যেমন আইন চেয়েছিলাম পাশ হওয়া আইনটি তেমন হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনটি নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি যে দুজন সদস্যের নাম প্রস্তাব করেছেন তাদের বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে, বর্তমান সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনে কাদের নাম প্রস্তাব করবে তা দেখার অপেক্ষায় পুরো জাতি। আমরা চাই, গঠিত সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ ও সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবেন, যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন।
এদিকে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দান করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এসএমএকে/এসআইএস