ঢাকা: যে আইনি প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হবে, সেই আইনকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
একই সঙ্গে নতুন আইনি প্রক্রিয়ায় এবার যে ইসি গঠন করা হবে সেটিও অতীতের মতোই সরকার প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা ১৬ আনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এই প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সার্চ কমিটি কী করবে? প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কিছুই করতে পারবেন না। এটা প্রধানমন্ত্রীর হাতেই রয়ে গেছে। এই আইনটাই ত্রুটিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই আইন করা হয়নি। অন্যান্যবার যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় ইসি হয়, এবারও সেটাই হতে যাচ্ছে। মাঝখানে জনগণকে দেখানো ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যে, এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।
তিনি আরও বলেন, চূড়ান্তভাবে সরকার প্রধান যে পরামর্শ দেবেন, রাষ্ট্রপতি সেই পরামর্শ অনুযায়ী নতুন সিইসিসহ ইসি সদস্যদের নাম ঘোষণা দিবেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১৬ আনাই।
সিপিবির পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ কিংবা মতামত রয়েছে কিনা জানতে চাইলে দেশের অন্যতম এ বাম নেতা বলেন, কাকে পরামর্শ দেব? আমরা অনেক আগে থেকেই বহুবার বলেছি, কিন্তু আইন করার আগে আমাদের সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) এ বিষয়েতো কোন আলোচনাই করলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড