ঢাকা: দলীয় অনুগত ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করার অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব।
তারা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় গত ১২ বছর ধরে চেপে থাকা আওয়ামী লীগের দ্বারা গঠিত এ কমিটির প্রকৃতপক্ষে কোনো যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা নেই। এটা স্বাভাবিক যে, এই সরকার কমবেশি অনুগত লোক দ্বারাই এই কমিটি করেছে। এই কমিটি আরেকটি অকার্যকর ও তামাশার নির্বাচন কমিশন উপহার দেবে, যারা ২০১৪ সালের মতো ভোটারবিহীন ইলেকশন ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতেই সরকারকে সহায়তা করবে। কাজেই এই সরকারের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করারই কোনো অধিকার ও ন্যায্যতা নাই। জনগণের পক্ষ থেকে ‘কথিত সার্চ কমিটির’ সদস্যদের দিকে তাকালেও বশংবদ চেহারা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, আইনমন্ত্রী সময় নেই বলে ‘আইন ও আইনের কাছাকাছি’ বাহানা দিয়ে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করলেন সেটি সংবিধান পরিপন্থী। অথচ ইতোমধ্যে তারা একযুগ ক্ষমতায় আসীন। আর কথিত এ ‘সার্চ কমিটির’ মধ্যেও পুরোনো কমিশনের সদস্য রয়েছেন, যাদের দ্বারা আর যাই হোক দেশ ও জনগণের কল্যাণে ন্যূনতম নির্বাচন কমিশন গঠনের বাস্তবতা থাকতে পারে না। কাজেই এই সার্চ কমিটি আরেকটি দলীয় নির্বাচন কমিশন ও দলীয় নির্বাচনই উপহার দেবে।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষে সংবিধান সংস্কার করার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে যেতে হবে এবং সে নির্বাচনের জন্যই দেশব্যাপী একদফার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এমজেএফ