ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে হামলা করেছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে হামলা করেছে: রিজভী

ঢাকা: সরকার স্বার্থপরতা, নীচতা, ভীতিপ্রদর্শন ক্ষমতা, নীতিহীনতা দিয়ে আর বেশিদিন রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশী হামলার পেছনে আছে সরকার প্রধানের অভয়বাণী। সেই কারণে পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে এ ধরণের হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পরপরই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ বিনা উস্কানিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এই হামলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের এই হামলা কাপুরুষোচিত ও পূর্ব পরিকল্পিত। বিএনপি’র কর্মসূচিতে পুলিশী হামলা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর চিরচেনা সংস্কৃতি।

তিনি বলেন, ঘটনার পরে রাত ৮ টার সময় বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে পুলিশ।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের সহিংস তাণ্ডবের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশ যে একটি পুলিশী রাষ্ট্র তা জানান দেয়া। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ছোবলে গোটা দেশকে আক্রান্ত করা হয়েছে। এরপরেও কেউ যাতে টু শব্দ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রতিনিয়ত তাদের পেশীশক্তি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আজকের ঘটনা সেটিরই একটি বর্ধিত রুপ।

তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন, শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম বাশার, মুগদা থানা বিএনপি’র সদস্য মো. মজিবর, ছাত্রদলের স্টাফ মুন্নাসহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী।

এছাড়া পুলিশী হামলায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদ, তাইফুর রহমান ফুয়াদসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল উঠিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ।

পুলিশী এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে রফিকুল আলম মজনুসহ আটককৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এমএইচ/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।