ঢাকা: ‘কাগমারী সম্মেলন’ ইতিহাসের অনন্য দলিল-স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৫তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কখনও নিজের জন্য রাজনীতি করেননি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন, এর মধ্যে তার অবিস্মরণীয় কীর্তি এবং উপ-মহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলন’। ১৯৫৭ সালের ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মওলানা ভাসানী ৫৪টি তোরণের মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন।
কাগমারী সম্মেলন পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ বলে পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি জানিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাঁধে।
কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন ১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ তাৎপর্যবাহী জাতীয় সম্মেলন যা পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিভক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশেষ ইঙ্গিতবহ ভূমিকা রেখেছিল। আসামে বাঙ্গাল ‘খেদাবিরোধী’ আন্দোলন, লাইন প্রথাবিরোধী আন্দোলন—এসব করতে গিয়েই মাওলানা ভাসানী প্রথম বাঙালি জাতিসত্তার অনুকূলে পৃথক একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নবীজ বপন করেছিলেন। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ‘স্টেটস’ শব্দটি তাঁকে আশাবাদীও করে তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর