ঢাকা: মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশের মানুষকে অস্বস্তিতে রেখেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য এই সরকারের বিচার হবে।
তিনি বলেন, সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, অনুসদ্ধান কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না। আর এজন্য বিএনপি গঠিত অনুসদ্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না। বিএনপি মনে করে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া যাদের সমন্বয়ে এই অনুসদ্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাত্রলীগে ছিলেন। তার বাবা আওয়ামী লীগ মনোনীত পূর্ব পাকিস্তানের প্রদেশিক পরিষদের সদস্য (এম.পি.এ) এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ছহুল হোসেন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তার ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। অন্য সদস্যরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, এই অনুসদ্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা জনগণের সঙ্গে আর একটি প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। বিএনপি মনে করে শুধুমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই এই সংকট উত্তরণ সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
এমএইচ/এমআরএ