ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ কখনও প্রকৃত নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি: শাহজাহান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
আ.লীগ কখনও প্রকৃত নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি: শাহজাহান

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. শাহজাহান ওমর বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও প্রকৃত নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। ১৯৭৩ সালে তারা একদলীয় নির্বাচন করেছে।

এর পরে তারা প্রতিবার হেরেছে। ১৯৯৬ সালে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ করে সামান্য কয়টা ভোটে তারা জিতেছিলেন। এক এগারোর সরকারের সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমাকে সাহায্য করলে বৈধতা দেব। পরে তারা কারচুপি করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তার পরের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন।

শনিবার (১৪ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বলেন, আপনাদের ব্যানারে লেখা প্রতিবাদ। হাসিনা কি প্রতিবাদ বোঝে? তিনি বোঝেন না। তিনি শুধু বোঝেন মুগুরবাদ। এ হল বক্তব্যের সারমর্ম। প্রতিবাদ করে লাভ নেই। সুন্দর কথা হাসিনা বোঝেন না। প্রতিরোধ করতে হবে প্রয়োজনে মুগুরবাদও দিতে হবে। হাসিনা নির্বাচন দিতে ভয় পান। সুষ্ঠু নির্বাচন দূরের কথা তিনি অসুষ্ঠু নির্বাচনও দেবেন না। এভাবে আর নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। বেহুদা কমিশনের মতো নির্বাচন কমিশন দিয়ে আর নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারে ৪১ জন সংসদ সদস্য। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান।  সেখানে এমপি মন্ত্রীদের ধরে মানুষ মুগুরবাদ দিচ্ছে। শেখ হাসিনার চার গুণ আর তা হলো হামলা, মামলা, গুম, খুন। সাত খুন কোথায় হয়েছিল, এই নারায়ণগঞ্জে। আপনারা যদি জাগতে পারেন তাহলে তারা পালাবে। হঠাৎ আওয়ামী লীগের কিছু নেতার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ‘ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এরকম বিভিন্ন জেলায় তারা লুটপাট করছে।

তিনি বলেন, আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে। আপনি এ দেশকে কি দিয়েছেন। মেধাবী ছাত্ররা চাকরি পায় না। যারা আওয়ামী লীগ করে তারা পুলিশ, বিসিএস ক্যাডার হয়ে যায়। আপনার দল যদি এত শক্তিশালী হয় তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তাতে যদি জিতে আসেন আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আপনাকে স্যালুট জানাবো।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজকে দেশে কোনো নির্বাচন নেই। একদলীয় শাসন চলছে দেশে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি। আজকে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে দেশ চলতে পারে না। আজ আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া কারাগারে কারণ তিনি বাইরে থাকলে শেখ হাসিনা অবৈধভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ড. হাছান মাহমুদ পাকিস্তানের দিকে তাকান, শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই আপনারা জনগণের পাহারাদার, আওয়ামী লীগের পাহারাদার হবেন না। এর জবাবও আপনাদের একদিন দিতে হবে।

আমাদের অনেক জায়গায় ইফতার মাহফিল করতে দেয়নি। আমাদের সিনিয়র নেতা মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি বলতে চাই এদের শেষ সময় তারা অনেক কিছুই বলবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে প্রতিহত করি।

সমাবেশে আরও  পস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, আহ্বায়ক সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।