ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুলিশি নির্যাতন বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
পুলিশি নির্যাতন বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের 

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপর পুলিশি হামলা, মামলা ও গ্রেফতার বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

শনিবার (২১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।

জুয়েল বলেন, এই অবৈধ সরকারের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে প্রিয় মাতৃভূমি৷ ঈদুল ফিতরের পর অল্প কয়দিনের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার গ্রেফতারের চেষ্টা ছাত্রসমাজকে খুবই মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে৷ আমরা ছাত্রদল এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  

জুয়েল আরও বলেন, এ অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতার প্রথম মেয়াদ থেকেই বিরোধী দল ও মতের মানুষের উপর খড়গহস্তে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে আসছে৷ জেল-জুলুম আর অত্যাচার-নির্যাতনকেই ক্ষমতায় টিকে থাকার মানদণ্ড হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ না হলে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বর্তমানে যখন কোনো নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেসময় ছাত্রদল সভাপতিকে বারবার গ্রেফতারের উদ্দেশ্য হয়রানি, গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়৷

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কোনোদিনই রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে ছিল না৷ তাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচারহীনতার বহু উদাহরণ এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে৷ সেই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো ছাত্রদল সভাপতিকে বিনা কারণে বারবার গ্রেফতার ও হয়রানির অপচেষ্টা।

সাইফ মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ শুক্রবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন৷ এসময় সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত-আটজন সদস্য ছাত্রদল সভাপতির প্যান্টের বেল্ট ধরে টানাহেঁচড়া করে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তাদের সঙ্গে দুই গাড়ি পুলিশ ছিল। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও তার সঙ্গে থাকা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৫-৫০ নেতা কর্মীর উপর পুলিশ অশালীন আচরণ ও মারধরের ঘটনা ঘটায়।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতিকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবুকে বেধড়ক মারধরসহ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়৷

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয় থেকে বাসায় যাওয়ার পথে গুলশান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম জাসামকে কাকরাইল মোড় থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর ডিওএইচএস এলাকায় চোখ ও হাত বাধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়৷

অবিলম্বে আটক ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

তিনি বলেন, দেশে যখন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মহাসমারোহে চলছে লুটপাট, হত্যা, গুম, খুন আর ধর্ষণ তখন প্রশাসন এসব অরাজকতাকে প্রতিরোধ না করে মদদ দিয়ে আরও উৎসাহিত করছে৷ ছাত্রলীগের অপকর্ম আর দেশজুড়ে চলমান অরাজকতাকে আড়াল করতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদল সভাপতিকে গ্রেফতারে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২ 
এমএইচ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।