যশোর: কেশবপুরে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না পেয়ে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় পাঁচ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুলের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ (২২) ও একই গ্রামের ইকরামুল হোসেন (২৩) ২৫ মে সন্ধ্যার দিকে পাঁজিয়া থেকে কেশবপুর শহরে আসার পথিমধ্যে পাঁজিয়া সড়কের হারেস খানের ভাটার কাছে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন এবং মুক্তির বিনিময়ে স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন।
মাসুমের চাচাতো ভাই নাজমুল হোসেন জানান, মধ্যকুল গ্রামের নূর ইসলাম মোড়লের ছেলে টিটো মোড়ল ও গনি শেখের ছেলে শেখ জামাল, পাঁজিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের হালিম সানার ছেলে ইমরান হোসেন, মাদারডাঙ্গা গ্রামের মতিন সরদার ও মণিরামপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন প্রায়ই তাদের কাছে চাঁদা দাবি করতেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় অস্ত্রের মুখে মাসুম বিল্লাহ ও ইকরামুল হোসেনকে অপহরণ করে এবং দুই পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদার টাকা না দিলে মোবাইল ফোনে হত্যা করার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
তাদের অপহরণের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেশবপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় বিষয়টি জানাজানি হলে অপহরণকারীরা রাত ১১ টার দিকে পৌর শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় তাদের দুজনকে ফেলে রেখে চলে যান। কেশবপুর থানা পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২৭ মে কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে। যার নং-১৪।
এ সকল সন্ত্রাসীরদের বিরুদ্ধে পাঁজিয়া এলাকায় চাঁদাদাবি ও ব্যবসায়ীদের মারপিট এবং ঘের দখলের অভিযোগ এবং কেশবপুর ও মণিরামপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
কেশবপুর থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
ইউজি/এসআইএস