ঢাকা: সাত দলের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্মের আলাপ-আলোচনার মধ্যেই ওই মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি।
সরকার হটানোর আন্দোলনে ‘বৃহত্তর ঐক্য’ গড়তে গত ২৪ মে নাগরিক ঐক্য এবং ২৭ মে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপি সংলাপ করে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুর সোয়া ১২টায় হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তার সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ইমরাদ জুলকারনাঈন, বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাঈন বাবু, দীপক রায়, শ্যামলী শীল, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান।
গত ২৯ মে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন- এ সাত দলকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ার বিষয়ে মতৈক্য হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর বিএনপির সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৫ মে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জনসংহতি আন্দোলন বাম গণতান্ত্রিক জোট বেরিয়ে যায় এবং প্রস্তাবিত ‘গণতান্ত্রিক মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হয় তারা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, বাম জোটের মাধ্যমে আন্দোলন করে সরকার পতন সম্ভব নয়। জোটের আন্দোলনের কৌশলগত দিক নিয়ে প্রশ্ন ছিল তাদের। সেই মতানৈক্যের কারণে তারা জোটের সদস্য পদ স্থগিত রেখে ওই জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠনের ঘোষণা আসে। ওই বছর জোটগতভাবেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে কোনো সাফল্য আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এমএইচ/জেডএ