ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মনোবল অটুট থাকলে বিনা যুদ্ধে জয় হবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
মনোবল অটুট থাকলে বিনা যুদ্ধে জয় হবে: গয়েশ্বর

ঢাকা: অঙ্গীকারের প্রতি দেশের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির সাহস, আস্থা ও মনোবল অটুট থাকলে বিনা যুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে জয় লাভ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘উন্নয়ন উৎপাদন ও শ্রমিকের জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে দেশের গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহ অঙ্গীকার করেছে। এ অঙ্গীকারের প্রতি দেশ ও জনগণের কথা মাথায় রেখে আস্থা, বিশ্বাস ও মনোবল অটুট রাখা গেলে সরকারের বিরুদ্ধে বিনা যুদ্ধে আমরা জয় লাভ করতে পারবো।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল বেলাও সৈনিকরা জানতো না একটু পরে পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানতো না এরশাদকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিচের দিকের নেতাকর্মীদের যে আস্ফালন দেখে মনে হচ্ছে তারাও জানেন না তাদের নেত্রী কখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো আত্মসমর্পণ করে এরশাদের মতো পদত্যাগ করবেন। এ অবুঝ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলি রাস্তায় নেমে আমাদের ওপর আক্রমণ, অথবা মারামারি ও গোলাগুলি করার আগে আপনার নেত্রীর কাছে কানে কানে জিজ্ঞাস করেন, তিনি কী আত্মসমর্পণ করবেন না? যদি করে তাহলে কখন? তারিখটা খুব কাছাকাছি। ১৩ বছর যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি, কয়েকটা দিন বা মাস এটা তো অনেক দিন না?

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বড় শক্তি অর্থনৈতিক ম্যানেজমেন্ট। এর মধ্যে দেখা গেছে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা নেই, শেয়ার মার্কেট থেকে প্রায় ৯০ লাখ কোটি টাকা নেই- এভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা শূন্য হয়ে গেছে। আগে তো তলাবিহীন ঝুঁড়ি ছিল, এখন হয়তো দেখা যাবে তলা আছে ঝুঁড়ি-ই নেই। সুতরাং এ অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করা খুব কষ্টের।
 
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বক্তব্যের রেশ ধরে গয়েশ্বর বলেন, সালাম সাহেব বলেছেন, এ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এটাই পুরো কথা নয়। পুরো কথা হচ্ছে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, যে পার্লামেন্ট আছে তা বলবদ রেখেও আমরা নির্বাচনে যাব না। তাহলে কী করতে হবে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার হবে। আমাদের নেতা খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এ অঙ্গীকারের সঙ্গে অন্যান্য জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল যারা এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না অঙ্গীকার করেছেন সবাই যদি বাড়িতে ঘুমিয়েও থাকি তারপরও শেখ হাসিনা সরকারে থাকতে পারবে না। কারণ তার পক্ষে আরেকটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের খাজা, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মিয়া মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।