ঢাকা: অনির্বাচিত অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে যেকোনো কিছু করতে পারে সেটা তারা এই বাজেটে প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (০৯জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের খসড়া বাজেট ঘোষণার পর বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই দাবি করে আমির খসরু বলেন, পাচারকৃত টাকা নিয়ে আসার আইন করেছে। অর্থপাচারকারীদের শাস্তি হওয়া দরকার। বিশ্বের সব জায়গায় সেটাই আইন। অথচ সরকার সবকিছু ভায়োলেট করে জঙ্গলের আইনে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে বাজেট বাড়তে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই বাজেট বাংলাদেশের জনগণ ও দেশের জন্য কতটা ব্যয় হচ্ছে সেটাই আজকের বক্তব্য। আমরা দেখতে পাচ্ছি ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা ব্রিজে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সেটা রেল লাইনের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ছাড়া। এই পদ্মা সেতু খালেদা জিয়ার সময় প্রাক্কলিত ব্যয় ঠিক করা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে।
প্রায় সাত লাখ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে দেশের মানুষের জন্য ২/৩ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে কি না সন্দেহ আছে জানিয়ে আমির খসরু বলেন, বাজেটের সংখ্যার একটা বড় অংশ লুটপাটের মধ্যে দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। দ্বিতীয়ত বিদেশে যে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে; এটা তাদের দলীয় লোকজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ব্যবসাবাণিজ্য করে দুর্নীতি করে অবৈধভাবে করেছে। তারাই আবার বাজেটে সেই টাকা দেশে এনে বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল স্তম্ভ সামাজিক ন্যায় বিচার এবং সংবিধানের পরিপন্থি। নৈতিকতার পরিপন্থি, আইনের পরিপন্থি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এমএইচ/এসএ