ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

‘জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন অলি, এটা মিথ্যাচার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
‘জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন অলি, এটা মিথ্যাচার’

ঢাকা: জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন কর্নেল অলি- এ বক্তব্য মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু।

দলের একাংশের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে এলডিপির বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী হন। ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে বিকল্পধারা গঠন করেন। পরে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। সম্প্রতি তার সেই এলডিপিতেও ভাঙন ধরে।  

অলি আহমেদ ১৯৭১ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার তিনি অন্যতম সাক্ষী বলে প্রচার আছে।

এলডিপির একাংশের বিশেষ বর্ধিত সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল গণি বলেন, দলের অনেক ভুলে জাতীয়তাবাদী শক্তি বিভক্ত হয়েছে। নির্বাচনে জোটগতভাবে কাজ করে যেতে বলেছে বিএনপি হাইকমান্ড, নির্বাচনে এটার মূল্যায়ন করা হবে।  

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএস মহিউদ্দিন বলেন, গরিব মানুষের পেটে খাবার নেই। দুস্থদের পেটে খাবার নেই। এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তুলব।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাষী এনামুল হক বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন শহীদ হয়েছে। আমার পিতা শহীদ হয়েছেন। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার আগে চাল-চিনি পাকিস্তান চলে যেত। আর স্বাধীনতার পরে চলে যেত ভারতে, দেশে দুর্ভিক্ষ হয় আওয়ামী লুটপাটের কারণে।

এনামুল হক আরও বলেন, ২০০৫ সালে সততার প্রশ্নে, নৈতিকতার প্রশ্নে বিএনপি ছেড়েছিলাম। প্রথমে বিকল্পধারা গঠন করেছি, পরে বৃহত্তরভাবে এলডিপি গঠন করা হয়। অলি আহমেদ সবাইকে কামলা মনে করতেন, তাকে ধিক্কার জানাই তার দলের ভেতরে স্বৈরচারী আচারণের জন্যে। সেজন্য এলডিপি ভেঙে গেল।  শাহাদাৎ হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে আমরা একত্রিত হলাম।  সেলিমকে আরো লিবারেল হতে হবে।  

এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু বলেন, কর্ণেল অলি যদি আর কোনো কটূক্তি করেন তাহলে জাতির সামনে তাকে দিগম্বর করা হবে। কর্নেল অলি মিথ্যাচার করে বলেছেন জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন।

এলডিপি মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে আছি। কর্নেল অলির সঙ্গে কেউ নেই, তার মহাসচিব যখন জেলে তিনি তখন প্রমোদ ভ্রমণে। কর্নেল অলি যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই বিএনপির বুকে ছুড়ি মেরেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।