ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দুর্নীতিবান্ধব লুটপাটের বাজেট: এবি পার্টি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
দুর্নীতিবান্ধব লুটপাটের বাজেট: এবি পার্টি

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করে এটিকে প্রতারণামূলক ও দুর্নীতি বান্ধব আখ্যা দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। শুক্রবার (১০জুন) বিকেলে রাজধানীতে ¬দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘোষিত বাজেটর প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, শিক্ষা খাতে এই সরকারের কোনো মনযোগ নেই। তারা উন্নয়ন বলতে বুঝায় কিছু ব্রিজ আর ফ্লাইওভার। কারণ এগুলোর মাধ্যমে তাদের লুটের সুযোগ অবারিত হয়।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বাজেট প্রস্তবনা কে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। কিন্তু আমাদের প্রত্যাখ্যানকে হয়তো তারা আমলে নেবে না। কারণ তারা সংঘবদ্ধ লুটেরা দল। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে যা শুরু হয়েছে তা নিছক পাগলামী ছাড়া আর কিছু না। পৃথিবীর কোথাও এরকম পাগলামী হয় না। ব্রিটিশ আমলে আলোড়ন সৃষ্টিকারী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরি হলেও ইংরেজরা এত পাগলামী করেনি।

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, লুটপাট, প্রতারণামূলক ও দুর্নীতি বান্ধব এই বাজেট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা বিশেষ করে অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দের দাবি করছি।

অ্যাড. তাজুল ইসলাম বলেন, একটি অবৈধ সরকার জনবান্ধব বাজেট দিতে পারবে না। কারণ জনগণের কল্যাণ তাদের মূখ্য নয়। তাই তারা আওয়ামী বান্ধব বাজেট দিয়েছে।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, একটি অবাস্তব, কল্পনা নির্ভর বাজেট সরকার পেশ করেছে। যেখানে রাজস্ব আয়, বৈদেশিক ঋণ কিংবা ব্যায়ের কোনো স্বচ্ছতা নেই। উন্নয়নের গল্পের নামে লুটের ইতিহাস সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন, দলটির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল।

উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারি সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম ইলিয়াস আলী, মো. আক্তারুজ্জামান, আব্দুল লতিফ মাস্টার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রফিক, সুলতানা রাজিয়া, মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, যুবনেতা তফাজ্জল হোসেন রমিজ, সাইফুল মির্জা, কামাল হোসেন, গাজী নাসির, শাহজাহান ব্যাপারী, সেলিম খান, শীলা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আব্দুল হালিম নান্নু, জেসমিন আক্তার মুক্তাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।