ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নেতাকর্মীদের আন্দোলন-চাপে কারা মুক্ত হয়েছি: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
নেতাকর্মীদের আন্দোলন-চাপে কারা মুক্ত হয়েছি: শেখ হাসিনা

ঢাকা: নেতাকর্মীদের আন্দোলন ও চাপে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, এটাই আওয়ামী লীগ। জনগণই হলো আমাদের শক্তি।

১৯৮১ সাল থেকে দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।

কারাবন্দী থাকার সময় দেশ নিয়ে পরিকল্পনার করার কথা জানিয়ে গত তিন বারের সরকার প্রধান বলেন, জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব। দল কীভাবে চালাব, সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।

অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়েই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা ৫ ভাগের উপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটাকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাব। যে যাই বলুক আমরা আমাদের কাজ করে যাব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রথমে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরে একে একে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শুভেচ্ছা জানান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের  কর্মকর্তারা।

>>> আরও পড়ুন: কারামুক্তি দিবসে শুভেচ্ছায় সিক্ত শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
এমইউএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।