ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বায়োপিকে ৮৩ কোটি, আর বানভাসিদের জন্য ৬০ লাখ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
‘বায়োপিকে ৮৩ কোটি, আর বানভাসিদের জন্য ৬০ লাখ’

ঢাকা: যে সরকার বিশেষ বায়োপিক বানানোর জন্য ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করে, সেই সরকার ৫০ লাখ বানভাসিদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করেছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা।

সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যার প্রেক্ষিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার রোববার (১৯ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে একথা বলেন।

তারা বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে কমপক্ষে অর্ধকোটি মানুষ অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। বহু মানুষ এরই মধ্যে মারাও গেছেন, বিপুল সংখ্যক শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ বাকিরা পানিবন্দি অবস্থায় আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে বর্ণনাতীত কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ফসল ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে সরকার বিশেষ বায়োপিক বানানোর জন্য ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করে, সেই সরকার ৫০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করেছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা। এই মানুষদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্য কোনো সরকারি উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে বর্তমান অবৈধ সরকারের এহেন প্রহসনমূলক আচরণ নতুন কিছু না। সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি বা রানা প্লাজা ধ্বসসহ অন্যান্য বড় বড় দুর্ঘটনার সময়ও বর্তমান ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার সরকার এরকম দায়িত্বহীন ও উদাসীন আচরণ করেছে।

অবিলম্বে দুর্গতদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ক্ষতিগ্রস্থকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বস্তুত জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন, মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন সরকারের কাছে অন্য কিছুর আশা করাও অর্থহীন। বর্তমান সরকারের সীমাহীন লুটপাট, তাদের আশ্রয়পুষ্ট লোকজনের নদী ও হাওর দখল করে ইচ্ছামতো ভরাট পূর্বক বাড়িঘর নির্মাণ এবং বিশেষত: রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দাপট দেখানোর জন্য ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে হাওরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ বৃহত্তর সিলেটের এই বন্যা ও মর্মান্তিক জন-বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। অবিলম্বে সব অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ, নদী শাসন এবং অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।