ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অতি প্রশংসায় বিরক্ত এমপি গোলাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
অতি প্রশংসায় বিরক্ত এমপি গোলাপ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানাতে আয়োজিত সভায় আয়োজকদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ (এমপি) বলেছেন, এমন কোনো কথা বলবেন না যেটা সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়। আর অনুষ্ঠানের প্রথমে যারা পদ্মার ওপরে ভিডিও দেখালেন, ‘ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু, ধন্যবাদ শেখ হাসিনা, পদ্মা সেতু জিন্দাবাদ।

’ যেখানে যা করবেন ভালো করে করবেন, বেসুরো করবেন না। আপনার বক্তব্য কথার মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যায় আপনি কোন লাইনের লোক। আমি বুঝতে পারি, এটা সবাই বুঝতে পারে।

সোমবার (২০ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক বঙ্গজননী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, যারা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি তার কথার মধ্যেই এগুলো বেরিয়ে আসবে। কাজেই আপনারা যারা বক্তব্য রাখবেন কথা বলবেন তারা সুন্দর করে, প্লিজ হোমওয়ার্ক করে আসবেন। এখানে অনেক শিক্ষিত লোকজন আছেন। অনেক সাংবাদিক এখানে অনেক তথ্য জানেন, পরিসংখ্যান জানেন। আমরা যারা এসেছি অনেকেই গবেষণা করেন। তাই এগুলো যখন বলবেন, একটু সুন্দর করে হোমওয়ার্ক করে আসতে হবে। নয়তো কথা বলবেন না।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সারা দেশে একদিকে আনন্দ-ফুর্তি, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এখানে আঞ্চলিকতার কথা কেউ কোথাও বলেছে বলে মনে হয় না। বক্তৃতায় বলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একুশটি জেলা অবহেলিত ছিল, দুর্ভোগের শিকার। দুর্ভোগ থাকবে না ২৫ শে জুনের পর। এখানে আঞ্চলিকতার কথা কেউ তোলে নাই। এই যে মনে করিয়ে দিচ্ছেন আঞ্চলিকতার কথা তার মানে আপনি পার্থক্য তৈরি করছেন। এতে সারা দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। গোটা জাতি উপকৃত হচ্ছে। যে আঞ্চলিকতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন আমার মনে হচ্ছে তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলছেন না।  

তিনি বলেন, ব্যাপক বন্যা হচ্ছে দেশে৷ এ সময় শেখ হাসিনা সাহসী ভূমিকা নিয়েছেন। তিনি সিলেট যাবেন। সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন৷ আর এটা নিয়েও কিছু কিছু লোক সমালোচনা করছে৷ কিছু লোক বসেই আছে সমালোচনা করার জন্য৷ ভালো কাজ তাদের ভালো লাগে না। পদ্মা সেতু তাদের ভালো লাগে না। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র তাদের ভালো লাগবে না৷ মাতারবাড়ি ভালো লাগবে না, কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল ভালো লাগে না, যে উন্নয়ন হচ্ছে সেগুলো ভালো লাগবে না। সমালোচনা করছে, রাজনীতি করছে। ঘরে বসে সমালোচনা না করে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়ান।

আলোচনা সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বঙ্গজননীর প্রধান সম্পাদক আলী নিয়ামত, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক ও প্রকাশক কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল ও মতিউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এনবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।