ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার (২১ জুন) দেশের ১১৬ জন আলেম ও ইসলামী বক্তার লেনদেন অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (২৩জুন) খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের ১১৬ জন সম্মানিত আলেম ও ইসলামী বক্তার বিরুদ্ধে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক তার আস্থার জায়গাটি নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা মনে করি, যে কারো বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পেলে দুদক তদন্ত করার অধিকার রাখে। কিন্তু তা তদন্ত করার আগে অভিযোগকারীর সৎ উদ্দেশ্য ও মোটিভ নিয়েও দুদকের তদন্ত করা উচিৎ। সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক ও বাংলা অভিধানে অস্তিত্ব নেই এমন একটি শব্দ (ধর্ম ব্যবসায়ী) শিরোনামে ব্যবহার করে যে শ্বেতপত্রটি দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে তাতেই দুদক কর্মকর্তাদের বোঝা উচিৎ ছিল একটি ধর্মীয় মহলের বিরুদ্ধে গণকমিশন নেতৃবৃন্দ কি পরিমাণ হিংসা ও বিদ্বেষ লালন করে। দুদকের উচিৎ ছিল আগে গণকমিশন নেতৃবৃন্দের এই বিদ্বেষ ও জিঘাংসার কারণ চিহ্ণিত করা এবং এক বছর ধরে শ্বেতপত্র তৈরির অর্থ্যায়নের উৎস অনুসন্ধান করা। কারা দেশের সাম্প্রদায়িক স্থিতিশীলতা বিনষ্টে ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে দিচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করা।
বিবৃতিতে খেলাফত মজলিস নেতারা আরও বলেন, আলেম-ওলামাদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে গত ২০ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণকমিশনের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলেছিলেন। তাহলে এই ধরণের ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ দুদক কী করে আমলে নিতে পারে তাও সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে হবে।
তারা বলেন, সিলট-সুনামগঞ্জসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চলের বানভাসি মানুষের সহযোগীতায় ইসলামী দল ও আলেম-ওলামারা যখন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এমন একটা সময়ে দুদকের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকে হতবাক করেছে। আর্থিক তদন্তের নামে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে এমন হয়রানির আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরকারকে এই বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এমএইচ/এসএ