ঢাকা: শিক্ষকদের টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার (২৭ জুন) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ ও সে ব্যাপারে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা, ক্ষেত্র বিশেষে পক্ষপাতমূলক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নড়াইলে এক সংখ্যালঘু অধ্যক্ষকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পুলিশের উপস্থিতিতে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রেপ্তার এবং আরেক সংখ্যালঘু শিক্ষককে ওই অধ্যক্ষকে রক্ষার চেষ্টা করায় মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, এটা তারই অংশ।
একই অভিযোগ তুলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রগতিমনা সংখ্যালঘু শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টার উল্লেখ করে বলা হয়, এই মহল এখন শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার কৌশল হিসেবে নিয়েছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রশাসন তো বটেই, দেশের শিক্ষক সমাজ, যারা সবসময় এ ধরনের ঘটনাবলীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তারাও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, এই ঘটনাবলীই প্রমাণ করে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ওয়াজের বয়ানেও বিভিন্ন মন্তব্যে ভিন্ন ধর্মমত কেবল নয়, স্বধর্মমতের বিভিন্ন অংশের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতারা সরকারের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক শক্তিসমূহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অপরদিকে সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি নিজ অবস্থান থেকে ও ঐক্যবদ্ধভাবে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা ও সর্বোপরি সাম্প্রদায়িক মানসিকতা তৈরি করতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড