ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা বিএনপি: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা বিএনপি: কাদের ওবায়দুল কাদের | বাংলানিউজ ফাইল ছবি

ঢাকা: এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা, লালনকর্তা বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারমূলক বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ না কি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল! অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে। এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা, লালনকর্তা বিএনপি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (বিএনপি) শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। এ দেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংষ্কৃতিও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত। শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক।  বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোক দেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সাথে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোক দেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে। অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।

তিনি আরও বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করেছে। তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো। বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণ বিলাস। তারা সাহায্য প্রদানের চেয়ে প্রেস-ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যতদিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে ততদিন পর্যন্ত তাদের সকল অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।