ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনা-খালেদাকে নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে চান জাফরুল্লাহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
হাসিনা-খালেদাকে নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে চান জাফরুল্লাহ ছবি: শাকিল

ঢাকা: সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে চান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, চিন্তা করেন প্রথমে আপনার (শেখ হাসিনা) গাড়ি, তার পেছনে খালেদা জিয়ার, পেছনে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়িয়ে থাকবে।

আস্তে আস্তে যাব। এখনও সময় আছে অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমা রাতে চলেন না যাই। এইটাই হবে বাংলাদেশ।

রোববার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উদ্বেগ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন। গণ মতামত কেন্দ্র এ সভার আয়োজন করে।  

আয়োজকদের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের ওপর আমার রাগ আছে। আপনারা এখানে ঘরে বসে মিটিং করেন। আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি চলেন হাজার দশেক লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করি। দুদিনের মধ্যে তাদের সবার জামিন না হলে আমরা সবাই ঘেরাও করে থাকবো। ওদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামাত হবে না। আমরাই ওখানে মাঠ দখল করে বসে থাকবো।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের একটা মাত্র দাবি দুদিনের মধ্যে খালেদা জিয়াসহ সব আলেম ও রাজনৈতিক কর্মীর মুক্তি চাই।

আসন্ন বাজেটে কৃষক-শ্রমিকদের কথা উল্লেখ নেই মন্তব্য করে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বাজেট বুঝতে হলে আপনাকে ১৩শ’ পৃষ্ঠা পড়তে হবে। কয়জনে বই পড়ছে জানি না, এমপি সাহেবরা কী করছে জানি না। এইটা চানক্যের চালাকি। আমাদের বাজেট হচ্ছে চানক্য পণ্ডিতের চালাকি। খালি চারিদিকে প্যাচ আর প্যাচ।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে ১০ তারিখ কী আমরা ঈদ করতে পারবো? কিছু লোক করবে কিন্তু বেশিরভাগ লোকের হাসি আসবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারবো না। সেমাই বানাতে পারবো না। মাংস পাবো না। এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই বলে আমাদের এখানে ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের, আওয়ামী লীগের না।

তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছরে সবচেয়ে বেশি সংবিধান কাটাছেঁড়া হয়েছে। এটা বেশি করেছে আওয়ামী লীগ। এ সংবিধান এখন মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। তাই এ সংবিধান পরিবর্তনের দাবি রাখে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।