ঢাকা: ভয়ভীতির শাসন কখনো দীর্ঘায়িত হয় না ও ভয় দেখিয়ে রাজপথের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-ওলামা লীগ, পুলিশের হামলায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক, বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দিবালোক সিংহ, জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদ, ছাত্রনেতা দীন ইসলাম, আবু সায়েম, পার্টির নেতা আব্দুল আজীজসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, সরকার তার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ সংগঠিত হতে না পারে তার জন্য হামলা-মামলা-ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে চাইছে। কিন্তু অতীতের শিক্ষা ভয়ভীতির শাসন কখনো দীর্ঘায়িত হয় না। ভয় দেখিয়ে রাজপথের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা আরও বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ। সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো পুনর্বাসন করা হয়নি। কমিউনিস্ট পার্টি নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য দাবি তুলে ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জনসভার আয়োজন করেছিল। আর পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বিনা উসকানিতে সেখানে হামলা করেছে। বাম জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সকে বক্তব্য দিতে দেয়নি।
নেতারা বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে কিন্তু তার দায় চাপানো হচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধের ওপর। যুদ্ধের আগে কি এখানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি? জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমলেও সরকার দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে পাঁচ টাকা কমিয়ে ও বাস ভাড়া পাঁচ পয়সা কমিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। সার ও ডিজেল এর দাম বাড়িয়ে প্রমাণ করছে কৃষি-কৃষক এর কাছে সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ আর সরকারি গুন্ডারা বলে আসছে কি কি বিষয়ে সভা সমাবেশে করা যাবে। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওবার পর এবার কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।
সমাবেশ থেকে নেতারা সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে হামলার ঘটনায় কলমাকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণ, হামলাকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ-ওলামা লীগ-শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জুলফিকার আলী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস
.jpg)
