ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিরোধীদল যেন ঘরের বউ, যখন খুশি তখন পেটাও। পরিণতি ভালো হবে না।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি, কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসির সঙ্গে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। গত ১৪ সাল ও ১৮ সালের নির্বাচন কত বড় জালিয়াতি সেটা আর বলার দরকার নেই।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। অথচ, মোমবাতি জ্বালানোর মতো কর্মসূচিও তারা সহ্য করতে পারছেন না। মোমবাতিও তারা নিভিয়ে দিতে চান। আমি স্পষ্ট বলছি, এই সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি সংসদ ভেঙে দেন। সরকার ভেঙে দেন। নাহলে, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করা হবে।
যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা (খালেদা জিয়া) তাকে ৪টি বছর ধরে বন্দী করে রেখেছেন। এর পরিণতি ভালো হবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, মোমবাতি জ্বালানোর মতো একটা শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ন্যাক্কারজনক হামলা প্রমাণ করে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এদেশে আর কখনো আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচন হবে না। জনগণ এটি হতে দেবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা এমন পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি, যেটা সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। জাতীয় নেতারা রক্তাক্ত হবেন, এটা সহ্য করার মতো নয়। নেতা-কর্মীদের চিলের মতো ছোঁ মেরে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মদদে নির্যাতন করা হচ্ছে। এদেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দেশ বাঁচাও ও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এমকে/এসআইএস