ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গুলি-টিয়ারগ্যাসে আন্দোলন বন্ধ হবে না: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
গুলি-টিয়ারগ্যাসে আন্দোলন বন্ধ হবে না: গয়েশ্বর কথা বলছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ঢাকা: সরকার পতনের আন্দোলন গুলি-টিয়ারগ্যাসে বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর)  সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমরা এখন যেসব দাবিতে আন্দোলন করছি এগুলো বিএনপির দাবি বললে ভুল হবে। কারণ এসব দাবি জনগণের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানে প্রতিটা পরিবারের নাভিশ্বাস। আয়ের সঙ্গে তাদের ব্যয়ের কোনো রকমের সঙ্গতি নেই। উত্তর উত্তর ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, আয় হ্রাস পাচ্ছে। এ কষাঘাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়।

তিনি আরও বলেন, কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতা ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে পারে নাই। পৃথিবীর পূর্বের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ইতিহাস তাই বলে। জনগণের মৌলিক সমস্যার সমাধান না করে শুধু টিয়ার গ্যাস-গুলি ইত্যাদি দিয়ে কখনো কোনো আন্দোলন ব্যর্থ করা যায়নি, এ আন্দোলনও বন্ধ করা যাবে না।  

গয়েশ্বর বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন যে- বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে করবে। হয়ত একটা সময় আসবে আন্দোলন জনগণ সফল করবে, শুধু আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো। এ ব্যাপারে আমরা খুব আশাবাদী।

সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ সরকারের পদত্যাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির, আমরা দাবি করছি, দ্রুত সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং একটা অরাজনৈতিক নির্দলীয় সরকারের অধীনের একটি নির্বাচন। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে আমাদের পাঁচজন শহীদ হয়েছেন।

এ আন্দোলনের সঙ্গে যে শহীদের রক্ত জড়িত। সুতরাং একদিকে আন্দোলন এবং অন্যদিকে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের একটা প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার থাকবে। এটি কিন্তু মূলত সরকার পতনের আন্দোলন। অর্থাৎ এ সরকারকে নো বলছে সবাই, এ সরকারকে দেখতে চায় না।  

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণের কাছে তাদের অবস্থান শূণ্যের কোঠায়। সাধারণত এ ধরণের ফ্যাসিবাদী সরকার হামলা, মামলা, খুন এবং সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে আমাদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা করবে এটা আমরা মর্মে উপলব্ধি করি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীরা যেই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে তারা খুব স্বয়ং সম্পূর্ণভাবে মানসিক বল নিয়ে করে। তারা বাধাপ্রাপ্ত হলে সেই বাধা অতিক্রম করার জন্য রুখে দাঁড়ায়। এটাই হলো আগামী আন্দোলনের সফলতার একটা পূর্বাভাস।

যতক্ষণ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জন না হবে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হবে বিএনপির আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এ নেতা।

বেলা সাড়ে ১১টায় জিয়া মঞ্চের ২৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল্লাহ ইকবালের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এ সময়ে জিয়া মঞ্চের সহসভাপতি আবু তালেব, মহানগর উত্তরের শাহাদাত হোসেন পলাশ, আনিসুল ইসলাম সায়েম, দক্ষিণের আবদুল হামিদ মামুন ও রেজওয়ান মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৩ সালে জিয়া মঞ্চ প্রতিষ্ঠা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।