ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, চলমান সহিংস রাজনীতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত। সহিংসতার মাধ্যমে জোর জবরদস্তির একটি নির্বাচন হবে, সরকারি দল থেকে এমন মেসেজ আমরা পাচ্ছি।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসীদের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া জাতীয় পার্টির নেতা সফিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত সংবাদিকদের সঙ্গে তিনি আলাপ করেন।
জিএম কাদের বলেন, কথা বলা, সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার থাকতে হবে। স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হলে সহিংস রাজনীতি আসে। যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পা-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে লড়েছে। ফলে, সরকার সমর্থকরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারেনি।
নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের হয়রানিমূলক মামলা ও হামলার শিকার হচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। এমন একটি হয়রানিমূলক মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন সফিকুল ইসলাম। পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি। সফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল। সময়মতো তাকে হাসপাতালে নেওয়া না হলে তার মৃত্যুর শঙ্কা ছিল। এখন তাকে আজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম ও যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক দীন ইসলাম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২২
এসএমএকে/এমজে