ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে: আমির খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে: আমির খসরু বক্তব্য রাখছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী -ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এই আন্দোলনের লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনা সরকারের পতন।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে কালশি বালুর মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতা নুরে আলম, আব্দুর রহিম, শাওন প্রধানের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী জোনের আয়োজনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আমির খসরু বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে দেশের প্রায় সব দল একটি লক্ষ্য ঠিক করেছে। সেটা হলো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন। আর একটি লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি, সংসদ, সরকার নির্বাচন করবে। যে সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি থাকবে।

যুগপৎ আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, দাবি করে তিনি বলেন, এই আন্দোলন দেশের প্রতিটি মানুষের। এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবে, তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তারা আওয়ামী সন্ত্রাসী হোক, অথবা অতি উৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা হোক অথবা যেই হোক, সবাইকে দেশের জনগণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যারা দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তার মধ্যে প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন শেখ হাসিনা এবং তার কিছু দোসর। আমি এটাকে সরকার বলি না, এটা একটা রেজিম। রেজিমের অর্থ হলো একটি অনির্বাচিত লোক যখন দেশের জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করে অব্যাহতভাবে ক্ষমতা চালাতে চায় তার সঙ্গে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ যোগ দেয়, কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা যোগ দেয়, কিছু অসাধু সুশীল সমাজ যোগ দেয়। এদেরকে আমি বলি উচ্ছিষ্ঠভোগী। সরকারের চুরির উচ্ছিষ্ঠ খাওয়ার জন্য এরা ঘুর ঘুর করছে। এদের ওপর আমাদের চোখ রাখতে হবে, চিহ্নিত করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নীরব, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, হাজী ইউসুফ, এবি এম এ রাজ্জাক, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, কৃষকদল নেতা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।  

সমাবেশে রূপনগর, পল্লবী থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।