ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাদুঘরে থাকা লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল নাচানাচি করছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২২
জাদুঘরে থাকা লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল নাচানাচি করছে: রিজভী

ঢাকা: জাদুঘরে থাকা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল এখন জীবন্ত হয়ে নৌকার ওপর নাচানাচি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীতে লোডশেডিং পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আজকে আমি যখন বাসা থেকে আসছিলাম তখন মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি সব খানে লোডশেডিং চলছে। ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। এটা (লোডশেডিং) তো ওরাই (সরকার) বলেছে যে, এটাকে নাকি জাদুঘরে নিয়ে গেছে। কিন্তু জাদুঘরে থাকা লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল জীবন্ত হয়ে এখন নৌকার ওপর নাচানাচি করছে। এ বিষয়টা নিশ্চয়ই আপনারা এখন দেখছেন।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যদি জবাবদিহিতার মধ্যে না থাকে এটা হবে ফানুস, সেটা বাতাসে উড়ে যাবে, হাইড্রোজেন বেলুনের মতো সেটা বাতাসে উড়ে যাবে। ঠিক আজকে এ যে লোডশেডিং দেখছেন- ভয়াবহ লোডশেডিং। কারণ ওদের (সরকার) মূল টার্গেট ছিল জনগণের টাকাটা মেরে দেবে, লোপাট করবে এবং নিজেদের লোকগুলো নিজেদের কোম্পানিগুলোকে তারা লাভবান করাবে। এ কারণেই তারা বিদ্যৎ খাতে দুর্নীতি করার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছে আইন করে। এ আইন করার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, তারা এটাতে লুটপাট করবে, তারা চুরি করবে। সেই দুর্নীতি, লুটপাট এখন সশরীরে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিদ্যুৎ খাত ছিল আওয়ামী সরকারের, শেখ হাসিনা সরকারের লুটপাটের অভয়ারণ্য। যেখানে তারা নির্ভয়ে লুটপাট করতে পারে। সেটার কারণে আজকে বিদ্যুতের চেহারাটা বেরিয়ে এসেছে লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে।

রিজভী বলেন, এ নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলতে চাই না। এরা যে কথাগুলো বলছে এটা ওদের মনের ভেতরের কথা না। এ কথাগুলো বলছে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। মানুষকে এভাবে বিভ্রান্ত করে করে শেখ হাসিনার যে এজেন্ডা, যে নীল নকশা, বেসিক্যালি সেই নীল নকশা নিয়ে তারা হাঁটছেন। হেঁটে প্রধানমন্ত্রী যেটা চায় সেটাই তিনি (সিইসি) ফাইনালি করবেন। তার আগে এ ধরনের কথাবার্তা বলবেন, ডিসিদের বলছে যে, তোমরা দলীয় আচরণ করবে না। অধিকাংশ ডিসি দলীয় কী? এটা মনে হয় যে, একেকজন অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী কর্মী। তো ওখানে নির্বাচন কমিশনের কী আছে। ইসির যে সাংবিধানিক সত্ত্বা সেটার কোনো সত্ত্বাই বিরাজ করে না। শেখ হাসিনার কাছে আত্মা বিক্রি করা ব্যক্তিদেরই নির্বাচন কমিশনে বসানো হয়েছে। সেই কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন করবেন, না নিশিরাতে নির্বাচন করবেন। না আরেকটা কোনো অভিনব ভোট ডাকাতির নির্বাচনের নতুন দৃষ্টান্ত দেখাবেন সেটা তো এ মুহূর্তে বলা খুব মুশকিল।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একেবারে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে এবং তারা নির্বাচন কমিশন করবেন তার অধীনেই বিএনপি নির্বাচন করবে এবং দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণের আগ্রহ বা ইচ্ছা সে রকম নির্বাচন। তা না হলে সঠিক, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল খালেক, নিপুণ রায় চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, শাহ নেছারুল হক, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।